News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ৩১ আগস্ট ২০২৫

মনোনয়ন ফরম বিতরণে বাধা, রাকসু কার্যালয়ে ভাঙচুর

মনোনয়ন ফরম বিতরণে বাধা, রাকসু কার্যালয়ে ভাঙচুর

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসু নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল। নেতাকর্মীরা কার্যালয় অবরুদ্ধ করে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও তালা ঝুলিয়ে মনোনয়ন ফরম বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছেন।

রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেতাউর রহমানের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। 

এ সময় তারা ‘রাকসু ফি দিয়েছি, ভোটার হতে চেয়েছি’, ‘লড়তে হলে লড়ব, ভোটাধিকার নিয়ে যাব’, ‘প্রথম বর্ষের ভোটাধিকার, দিতে হবে দিতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এতে মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। তারা ফি দিয়েছে, কিন্তু ভোটার হতে পারছে না। আমরা বৈষম্য নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

শাখা ছাত্রদলের কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটার তালিকায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা ছাত্রদলের এই দাবিকে সমর্থন জানাই।

আরও পড়ুন: মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

আন্দোলন চলাকালীন ভায়োলেন্সের একটি পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়। বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে ছাত্রদল বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ছাত্রদল মাইকে সালাউদ্দিন আম্মারকে ‘চাঁদাবাজ’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয়। দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত কাউকেই মনোনয়নপত্র তুলতে দেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উভয়পক্ষের উচিত আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা। 

রাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে নতুন তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক আলোচনার পক্ষে, সহিংসতা নয়।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণের জন্য শেষ দিন নির্ধারিত ছিল। ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও সহিংসতার কারণে এই বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়