News Bangladesh

স্পোর্টস ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ২ জুলাই ২০২৫

নতুন টাইগারদের দাপটে চাপে শ্রীলঙ্কা

নতুন টাইগারদের দাপটে চাপে শ্রীলঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পরাজয়ের হতাশা ভুলে রঙিন পোশাকে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে নতুন অধিনায়ক, নতুন মুখ, আর একঝাঁক তরুণের হাত ধরে শুরু হলো নতুন পথচলা। 

বুধবার (২ জুলাই) কলম্বোর রানা প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই তার ঝলক দেখা গেল। 

নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে এই সিরিজ দিয়ে রঙিন পোশাকে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নেয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা, তবে শুরুতেই টাইগারদের তীব্র গতির বোলিংয়ে চাপে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব ৩.১ ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অফ লেংথ ডেলিভারিতে পাথুম নিসাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান। ৮ বল খেলে রান না করে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিসাঙ্কা।

পরের ওভারেই আক্রমণে আসেন ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেরান ওপেনার নিশান মাদুশকাকে, যিনি ১৩ বলে ৬ রান করেন।

আরও পড়ুন: নির্বাচক প্যানেলে রদবদল: শিপনকে চায় বিসিবি

সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন তাসকিন। মাত্র প্রথম বলেই মিড-অফে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে বিদায় নেন কামিন্দু মেন্ডিস।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৮ ওভার শেষে) শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৩৪/৩। অপরাজিত ছিলেন কুশল মেন্ডিস (২০ বলে ১৩ রান) ও চারিথ আসালাঙ্কা (১০ বলে ৪ রান)।

টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তকে ওয়ানডে দলে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে দুটি অভিষেক ঘটে — বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম এবং তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। দুইজনই সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছিলেন, এবার ওয়ানডেতেও অভিষেক হলো তাদের।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ দল এই ম্যাচে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ (মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ)-এর কেউ না থাকা অবস্থায় মাঠে নামে। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ২০০৪ সালে, দুই দশক আগের এক ভিন্ন যুগে।

বাংলাদেশ:
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তৌহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত (উল্লেখযোগ্যভাবে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে খেলেননি)।

শ্রীলঙ্কা:
নিশান মাদুশকা, পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), জানিথ লিয়ানাগে, মিলান রত্নায়েকে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, ইশান মালিঙ্গা, আসিথা ফার্নান্দো।

বাংলাদেশের বোলাররা শুরু থেকেই দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেন্থে বল করে লঙ্কানদের শুরুর স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন। বিশেষ করে তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদের জোড়া আঘাতে লঙ্কানরা প্রথম ৭ ওভারে পড়ে যায় গভীর ব্যাটিং সংকটে। এখন বাকি ইনিংসটা কুশল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কার মতো মিডল অর্ডারের উপর অনেকটা নির্ভর করবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয়, দীর্ঘদিন পর দলীয়ভাবে এত গোছানো এবং ধারাবাহিক বোলিং পারফরম্যান্স দেখা গেছে। তাসকিন ও তানজিমের পেস, মিরাজের নেতৃত্বে স্পিন আক্রমণ এবং নতুনদের আত্মবিশ্বাস—সব মিলিয়ে টেস্ট ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দারুণভাবে ওয়ানডেতে শুরু করেছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়