তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ট্রাম্পের
ফাইল ছবি
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপে দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থা পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতিকে পুনরুদ্ধার ও কঠোর করার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ঘোষণা দেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘অ-নাগরিকদের’ জন্য সব ধরনের ফেডারেল ভাতা ও সুবিধা বন্ধ করা হবে।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি তাদের নাগরিকত্ব বাতিল বা বহিষ্কারের নির্দেশ দেবেন যারা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, অথবা যারা যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য সম্পদ নয়, তাদের আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। সমস্যাজনক অভিবাসীরা নিজ দেশে ফিরে গেলে দেশ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।
এই ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি হয়। বুধবার ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করা হয়; ঘটনাস্থলে এক সদস্য নিহত হন এবং অপর সদস্য গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত আফগান নাগরিক রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও সিআইএর সঙ্গে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার মামদানির সঙ্গে দেখা করবেন ট্রাম্প
ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, এই হামলা বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকির ইঙ্গিত দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করে।
হোয়াইট হাউস অভিবাসন দপ্তরের নির্দেশে ১৯টি দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের নথি পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
ইউএসসিআইএস পরিচালক জো এডলো জানিয়েছেন, প্রত্যেক বিদেশির গ্রিন কার্ডের ব্যাপক ও কঠোর পুনর্মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভিসা ওভারস্টে, এবং সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অভিবাসন আইনজীবীদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট জেরেমি ম্যাককিনি বলেন, ওয়াশিংটন ডিসির হামলার সঙ্গে জাতি বা জাতীয়তার সরাসরি সম্পর্ক নেই।
তিনি অভিযোগ করেন, ট্রাম্প এই ঘটনা ব্যবহার করছেন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব ছড়ানোর জন্য।
ম্যাককিনি বলেন, যে কেউ উগ্রবাদে জড়াতে পারে বা মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। এটি কোনও নির্দিষ্ট জাতি বা দেশের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়।
ট্রাম্পের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে, তার মূল লক্ষ্য হলো অবৈধভাবে আসা এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
তিনি জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি পুনরায় শক্তিশালী এবং নিয়ন্ত্রিত হবে।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








