ভোরে স্পষ্ট হলো কড়াইল বস্তির আগুনের ভয়াবহতা
ছবি: সংগৃহীত
ভোরের আলো ফুটতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ। সারারাত আগুনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো সকালে ফিরে দেখেছেন- তাদের ঘরবাড়ি, জমানো সম্পদ, সামান্য সঞ্চয়-সবই পুড়ে গেছে ছাই হয়ে। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অসংখ্য পরিবার।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্তরা পরিবার-পরিজনসহ খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে নিজের ঘরের ধ্বংসস্তূপে ফিরে খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিছু অবশিষ্ট আছে কি না- যা দিয়ে নতুন করে জীবন গুছানো সম্ভব হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিভিন্ন সংস্থা ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা মিললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাদের ভাষায়, “সবই পুড়ে গেছে- চারদিকে শুধু কংক্রিট ছাড়া আর কিছু নেই। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে বুঝতে পারছি না।”
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। বস্তির ঘিঞ্জি পরিবেশ, সরু রাস্তা এবং পানির সংকটের কারণে আগুন নেভাতে ১৯টি ইউনিটকে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভাতে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন।
আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবে সরকার
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে তীব্র পানি সংকট ও এলাকার জটিলতা আগুন নেভানোকে কঠিন করে তোলে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় কমিটি এখনো আগুন লাগার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








