দল ঘোষণায় নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে লিটনের ক্ষোভ
ফাইল ছবি
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে ঘিরে বাংলাদেশ দলে বড় ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে শামীম হোসেন পাটোয়ারির বাদ পড়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্ল্যাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বুধবার (২৬ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
তার অভিযোগ, দল ঘোষণার আগে তাকে কোনোভাবেই জানানো হয়নি এই পরিবর্তনের কথা।
সাধারণত দল ঘোষণার আগে কোচ ও অধিনায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন নির্বাচকরা। কারা থাকবেন, কারা বাদ পড়বেন—সে বিষয়ে অধিনায়ককে অবহিত করা হয়। কিন্তু এবার সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে দাবি লিটনের।
তিনি বলেন, এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না, পুরোপুরি নির্বাচকদের কল। কেন আমাকে আগে জানানো হয়নি, তা জানি না। এতদিন জানতাম অন্তত ক্যাপ্টেনকে জানানো হয় কোন প্লেয়ার ঢুকছে বা বাদ পড়ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শামীমের ব্যাট হাতে ব্যর্থতা থাকলেও তাকে বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা দেখছেন না লিটন।
অধিনায়ক বলেন, আমি শামীমের বাদ যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না। সে দলে থাকলে ভালো হতো।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, সর্বশেষ কয়েক ম্যাচে শামীমের সংগ্রহ ছিল ০, ১ ও ১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অবিবেচক শটে আউট হওয়ায় লিটন নিজেও প্রকাশ্যে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন। তবুও তিনি মনে করেন, ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরও একজন খেলোয়াড়কে হঠাৎ বাদ দেওয়া হতাশাজনক।
আরও পড়ুন: জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নির্বাচনী অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা
লিটনের ক্ষোভের মূল কারণ শুধু শামীম নয়, বরং দল নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া।
তার ভাষায়, আমাকে বলা হয়েছে যে দেওয়া স্কোয়াড নিয়েই কাজ করতে হবে। কোন খেলোয়াড়কে চাই বা না-চাই—এসব বলার সুযোগ আমার নেই। এতদিন জানতাম একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে দল গোছানোর একটা পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু এখন জানলাম, যে দল দেওয়া হবে সেটিই মাঠে নামাতে হবে।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। তার আগেই অধিনায়কের এই ক্ষোভ প্রকাশ দলীয় পরিবেশে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। নির্বাচক প্যানেলের নেতৃত্বে থাকা গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও বোর্ডের নির্দেশনায় অধিনায়ককে সীমিত ভূমিকায় রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শামীমের সাম্প্রতিক ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাকে সমর্থন জানিয়ে লিটন বলেন, প্রত্যেক প্লেয়ার থেকে প্রতি সিরিজে পারফরম্যান্স আশা করা যায় না। শামীম কয়েক সিরিজ দারুণ খেলেছে, যা আমাদের খুব দরকার ছিল। দুই-তিন সিরিজ ভালো না খেলেই তাকে বাদ দেওয়াটা তার জন্য হতাশাজনক। একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে তাকে ব্যাক দিতে না পারায় আমি সত্যিই দুঃখিত।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও নির্বাচকদের মধ্যে এই যোগাযোগহীনতা শুধু শামীমের বাদ পড়ার ঘটনাই নয়, বরং দল পরিচালনার কাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। সিরিজ শুরুর আগেই লিটনের ক্ষোভ প্রকাশ দলীয় সমন্বয় ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








