নির্বাচক প্যানেলে রদবদল: শিপনকে চায় বিসিবি
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক প্যানেলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন জাতীয় দলের তৎকালীন নির্বাচক হান্নান সরকার। এরপর থেকে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে দুইজন নির্বাচক—গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও আব্দুর রাজ্জাক—দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পুরো প্যানেলের। দীর্ঘদিন দু’জনের ওপর অতিরিক্ত চাপ থাকায় নির্বাচক প্যানেলে ভারসাম্য ফেরাতে তৃতীয় একজনকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
রবিবার (৩০ জুন) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় দলের জন্য একজন নতুন নির্বাচক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকটি নাম বিবেচনায় রয়েছে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
বুলবুল বলেন, আমাদের এখানে তিনজন জাতীয় দলের জন্য সিলেক্টর ছিল। একজন চলে গেছে, এখন দুইজন আছে। আমরা কীভাবে একজনকে যুক্ত করতে পারি, সেই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেশ কিছু নাম আলোচনায় এসেছে, কিন্তু কিছুই এখনও চূড়ান্ত নয়। দুজনের ওপর কাজের চাপ বেড়ে যাচ্ছে।
বিশ্বস্ত বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, নারী দলের বর্তমান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপনের সঙ্গে বিসিবি ইতোমধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি হতে পারেন জাতীয় দলের সহকারী নির্বাচক।
আরও পড়ুন: ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ইন্টার মিলান
তবে বিসিবি জানিয়েছে, অন্তত আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান নারী বিশ্বকাপের দায়িত্বে থাকবেন শিপন। বিশ্বকাপ শেষে পরিস্থিতি ও বোর্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি পুরুষ দলের দায়িত্বে যোগ দেবেন কি না।
সূত্রটি জানায়, শিপনের সঙ্গে বিসিবির আলোচনা চলছে। তিনি অভিজ্ঞ ও বোর্ডের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ক্রিকেট মস্তিষ্ক। তবে তিনি নারী দলের বিশ্বকাপ মিশন পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। এরপর বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, তার সঙ্গে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু হান্নান সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দুজনকেই একযোগে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সিরিজ, এ দল, হাই পারফরম্যান্স দল—সবগুলো নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, যা বোর্ডের দৃষ্টিতে কার্যকরী নয়।
নতুন নির্বাচক হিসেবে অভিজ্ঞ কাউকে নিয়োগের বিষয়ে বিসিবি সচেতন রয়েছে। নির্বাচক প্যানেলে ভারসাম্য, অভিজ্ঞতা এবং যুগোপযোগী চিন্তার সমন্বয় আনতেই এমন পরিবর্তনের চিন্তা করছে বোর্ড।
বোর্ডের একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরে নারী বিশ্বকাপ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগ পর্যন্ত কোনো স্থায়ী নিয়োগ নয়, তবে প্রস্তুতি ও যোগাযোগ চলবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








