News Bangladesh

বিনোদন ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৪ মে ২০২৫

টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে চুরি ও শ্লীলতাহানি

টাঙ্গাইলে জেমসের কনসার্টে চুরি ও শ্লীলতাহানি

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে নগর বাউল জেমসের কনসার্টে উপস্থিত হাজারো দর্শকের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মোবাইল ফোন চুরি ও নারী হয়রানির ঘটনায়। 

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই কনসার্টে ঘটে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

অনুষ্ঠান চলাকালে এবং পরবর্তীতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ১০৫ জন ভুক্তভোগী টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন একাধিক গণমাধ্যমকর্মীও। ভিড়ের মধ্যে ইচ্ছাকৃত ধাক্কাধাক্কির সুযোগে মোবাইল চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। চুরি হওয়া মোবাইলের মধ্যে অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য সংরক্ষিত ছিল বলে জানান তারা।

গণমাধ্যমকর্মী নাঈম খান রাব্বি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার এবং আমার ভাগ্নের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে। 
অন্যদিকে, জাগো নিউজের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও আয়োজক কমিটির বাধায় ভিআইপি গেট দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারিনি।

কনসার্টে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন নারী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে একাধিক পোস্টে ক্ষোভ ঝাড়ছেন স্থানীয়রা। 

আরও পড়ুন: সেলিব্রেটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় মেহজাবীন-সিয়ামের গিগাবাইট টাইটানস

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন, আয়োজক কমিটি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়নি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিল অপ্রতুল।

এই চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন ও কনসার্টের পৃষ্ঠপোষকতা করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব। অনুষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাও। 

অনেক দর্শনার্থী অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার এবং বিশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ মানুষের জন্য অনুষ্ঠানটি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অনেক গণমাধ্যমকর্মী, টিকিট থাকা সত্ত্বেও, আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে মাঠে ঢুকতে পারেননি। দর্শনার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসে, কনসার্টের সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং পর্যাপ্ত মনিটরিং ছিল না।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত মোবাইল হারানোর ঘটনায় ১০৫টি জিডি পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। 

তিনি আরও জানান, শ্লীলতাহানির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়