News Bangladesh

ফরিদপুর সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২৭ আগস্ট ২০২৫

ফরিদপুরে জমি বিরোধে বিএনপি নেতার ঘরে হামলা, আহত ৫

ফরিদপুরে জমি বিরোধে বিএনপি নেতার ঘরে হামলা, আহত ৫

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

ফরিদপুরের সালথায় জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি নেতা মো. জাহিদুর রহমান চুন্নুর (৬৫) বসতবাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। 

হামলাকারীরা অন্তত চারটি বসতঘর ভেঙে ফেলে এবং ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় হামলা ঠেকাতে গেলে পরিবারের পাঁচজন আহত হন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ভোরে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামের ভরপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

জাহিদুর রহমান স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। হামলাকারীরা প্রভাবশালী আউয়াল মুন্সীর অনুসারী বলে জানা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত জাহিদুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিবেশী মো. কাউসার কাজীর বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিশ ও মামলা রয়েছে। কাউসার প্রবাসে থাকলেও তার ভাই হাসান কাজী সম্প্রতি কাউকে না জানিয়ে বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা নির্ধারণ করেন।

আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

এরপর বুধবার সকালে হাসান কাজীর নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা চারটি বসতঘর ভেঙে দেয় এবং ঘরে থাকা পাট, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হামলা ঠেকাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা হয়।

এ ঘটনায় জাহিদুর রহমান ছাড়াও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৬০), ছোট ভাই শাহিদুর রহমান মুন্নু (৬০), ভাতিজা বদিউর রহমান (২৫) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিপা বেগম (৪৫) আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জাহিদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, হাসান কাজীর বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তারা প্রভাবশালী আউয়াল মুন্সীর সমর্থক। এজন্য ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না।

হামলার পর অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর পুলিশের ভয়ে হাসান কাজী ও আউয়াল মুন্সী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমানের সঙ্গে প্রতিবেশী কাউসার কাজীর বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়