খুলে দেওয়া হলো ঢাকা-বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ১৮ কি.মি.

ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের (এন–১০৫) প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ  আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। 

রবিবার (২৪ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উদ্বোধন করেন।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “বড় শহরগুলোতে বাইপাস তৈরি করতে হবে যাতে যানজট কমানো যায়। তবে সড়ক নির্মাণের ব্যয় কমাতে হবে এবং প্রযুক্তি বাড়াতে হবে, যেন রাস্তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। প্রতিদিনই আমাদের ফোন আসে রাস্তার অবস্থা নিয়ে, বিশেষ করে সিলেট থেকে।”

উদ্বোধনের আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে এই অংশ পরীক্ষামূলকভাবে ৩ দিন টোল ফ্রি চালু করা হয়।

প্রকল্পের সেফটি ইঞ্জিনিয়ার ফারদিন ইমাম জানান, ১৮ কিলোমিটার অংশের নির্মাণ প্রায় শেষ হওয়ায় যান চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এক্সপ্রেসওয়েতে সিএনজি, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই অংশে কোনো ইউটার্ন থাকবে না।

আরও পড়ুন: সাদাপাথর ফেরত দিতে ডিসি সারওয়ারের আলটিমেটাম

টোল হার (যানবাহন ধরন অনুযায়ী)- বড় ট্রাক (ট্রেলার, ৬–এক্সেল, ১৫–২৫ টন): ৭৪০ টাকা। ভারী ট্রাক (২–৩ এক্সেল, ৭+ টন): ৬১০ টাকা। মাঝারি ট্রাক (৫–৭ টন): ৪০০ টাকা। বড় বাস (৩১ সিট বা তার বেশি): ৩১০ টাকা। ছোট ট্রাক (৩ টন): ২৬০ টাকা। ছোট বাস (৩১ সিটের নিচে): ২১০ টাকা। মাইক্রোবাস: ১৯০ টাকা। পিকআপ, জিপ, রেকার, ক্রেন (৩ টন): ১৮০ টাকা। সেডান প্রাইভেটকার: ১৫০ টাকা। 

উল্লেখ্য, ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে নির্ধারিত সময়ে ২০২৬ সালের জুন মাসে হস্তান্তর করা হবে।