News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ১২ নভেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রের টাকা অপচয় এড়াতে গণভোট নয়: তারেক রহমান

রাষ্ট্রের টাকা অপচয় এড়াতে গণভোট নয়: তারেক রহমান

ফাইল ছবি

যদি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আলাদাভাবে করা হয় তবে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ অপচয় হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফেরানো হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখা উচিত। কেউ যদি বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চায়, তবে তারা নিজেই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মন্তব্য অনুযায়ী, মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আলু চাষিদের জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকি দেওয়াই গণভোটের চেয়ে বেশি জরুরি। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোটের পরিবর্তে পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার তৈরি করা অনেক বেশি জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দেশে এসব বাস্তব সমস্যার কথা বলার মতো কেউ নেই।

আরও পড়ুন: জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সরকারের দ্বৈত ভূমিকা ‘স্বার্থের সংঘাত’

নারী কর্মসংস্থান ইস্যুতেও উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কর্মঘণ্টা কমানোর নামে নারীদের চাকরিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে না তো? পোশাক কারখানায় যদি নারীরা ৮ ঘণ্টার বদলে ৫ ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে বাকি সময়ের মজুরি কে দেবে? এতে কি তাদের কাজের সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে না? 

তিনি আরও বলেন, গণভোটের চেয়ে নারীদের মধ্যে চাকরি সংকুচিত হওয়ার আতঙ্ক দূর করা বেশি জরুরি। একজন কর্মহীনের জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টি করাই আজ সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।

তারেক রহমানের দাবি, দেশের এখন গণভোট নয়, প্রয়োজন কৃষক, শ্রমিক ও কর্মহীন মানুষের বাস্তব সমস্যার সমাধান।

তিনি সতর্ক করে বলেন, একটি মহল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্র খর্বের চেষ্টা করছে। যারা বিরোধিতা করছে, তারা হুমকি না দিয়ে জনগণের মুখোমুখি হোক ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে।

তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ। তাই সবাইকে সংহতি ও ঐক্য বজায় রেখে গণতন্ত্র রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। 

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হুমকি-ধামকি বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করলে তা জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।

বৃহস্পতিবারের আলোচনা সভায় তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার ওপর জোর দেন এবং সকল রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়