লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের গাড়ি বহরে হামলা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়েছে। ওই গাড়ি বহরে ইউনিফিল মিশনের বিদায়ী উপকমান্ডার ছিলেন। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে এই হামলার ঘটনায় শান্তিরক্ষী মিশনের কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন।

এর আগে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৈরুত বিমানবন্দরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ লেবানিজরা। দেশটিতে ইরানি প্লেন নামতে পারবে, এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লেবাননে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বিক্ষোভের মধ্যেই শান্তিরক্ষী বহরে হামলা হয়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থকরা জাতিগত স্লোগান দিয়ে ইউনিফিলের সদস্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের মারধর করছে। 

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১১

ইউনিফিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এমন একটি ঘটনার জন্য অবাক এবং হতবাক। 

শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে ইউনিফিল, এবং এটি যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য হতে পারে বলে জানিয়েছে। তারা লেবানন সরকারের কাছে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

এরপরই বিবৃতি দিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী। এই হামলার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে জানায় তারা।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, অপরাধীদের গ্রেফতারে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ইরানি ফ্লাইটকে বৈরুতে নামতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করেই পুরো ঘটনার সূত্রপাত হয়।

এই হামলার পেছনে মূলত বৈরুতে একটি ইরানি ফ্লাইটের অবতরণ বন্ধ করার ঘটনা দাঁড়িয়ে ছিল। 
ইসরায়েলের অভিযোগ, বেসামরিক ফ্লাইটের আড়ালে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে অর্থপাচার করছে ইরান। 

ইরানও এর প্রতিক্রিয়ায়, বৈরুতে ইরানি প্লেনের অবতরণ না হওয়ার পাশাপাশি দেশটিতে আটকেপড়া কয়েক ডজন লেবানিজের প্রত্যাবাসন ঠেকিয়ে দেয়। 

তেহরান বলছে, বৈরুতে ইরানি প্লেন নামতে না পারলে লেবাননের প্লেনও ইরানে অবতরণ করতে পারবে না। 

সূত্র: বিবিসি