News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২৮ আগস্ট ২০২৫

আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

ফাইল ছবি

আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের বিপিএম–৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, রিজার্ভ হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে প্রতীয়মান হয় যে, রিজার্ভের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

তবে, আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতে যাচ্ছে ‘নগদ’, বিনিয়োগকারী খুঁজছে সরকার

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। এরপর বিভিন্ন কারণে রিজার্ভ কমে যায়। বর্তমানে, রিজার্ভের এই বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য যে, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি, রফতানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ সহায়তার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। এর পর গ্রস রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। আর বিপিএম৬ অনুযায়ী নেমে আসে ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।

বর্তমানে, রিজার্ভের এই পরিমাণ দেশের অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি দেশের বৈদেশিক লেনদেনের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়