শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের লড়াই
ছবি: সংগৃহীত
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে পরপর ব্যর্থতার ধাক্কা সামলাতে এবার নতুন করে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে শেষ ফরম্যাটের লড়াই।
বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
টাইগারদের পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক সময়ে হতাশাজনক। টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। শেষ পাঁচটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পরাজিত বাংলাদেশের লক্ষ্য এবার ব্যর্থতা ভুলে এক ইতিবাচক সূচনা।
তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক লিটন দাস মনে করেন, নতুন ফরম্যাট মানেই নতুন সুযোগ।
মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজ টি-টোয়েন্টির জায়গায় আছে। আলাদা ফরম্যাট। সবাই জানে কীভাবে খেলতে হয়। আমরা ১০০ শতাংশ দিয়ে খেলব। ছন্দে ফিরতে চাই। তবে এটা সহজ হবে না, কারণ ওরা হোম কন্ডিশনে ভালো খেলে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোটের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। এবার পুরো শক্তির পেস ইউনিট নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। দলে যুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, যিনি দীর্ঘ ১৩ মাস পর জাতীয় দলে ফিরছেন।
লিটনের ভাষায়, আমার মনে হয়, বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে একজন অলরাউন্ডার মিস করছিল। সাইফউদ্দিন ফিরেছে, এটা দলের জন্য ভালো। আমরা সাকিবেকে অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছি, কিন্তু আরও বিকল্প থাকা দরকার।
পাল্লেকেলের উইকেট প্রসঙ্গে লিটন বলেন, এই উইকেট ভালো। দুই দলের পেসার, স্পিনার—সবাই সুবিধা পেয়েছে। ব্যাটাররাও ভালো খেলেছে। আমরা কাল উইকেট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
একাদশে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন-এর সুযোগ পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বললেও, তাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সদস্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লিটন।
আরও পড়ুন: সিরিজ জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ, লক্ষ্য ২৮৬
বাংলাদেশের মূল দুর্বলতা এখন ব্যাটিং। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে বারবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় দল, এর আগে আইসিসির সহযোগী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।
শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা চোটের কারণে সিরিজের বাইরে। তৃতীয় ওয়ানডেতে চোট পাওয়া এই অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা লঙ্কানদের জন্য।
তবে অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ আশা করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিভাবান দল। আমরাও তরুণ দল। আমি মনে করি না, আমরা খুব এগিয়ে আছি। কঠিন সিরিজ হবে। উইকেট দেখে মনে হচ্ছে ১৮০ রান ছাড়িয়ে যাবে।
টি-টোয়েন্টিতে দুই দল এখন পর্যন্ত ১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১১ বার, বাংলাদেশ ৬ বার।
টাইগাররা মাত্র ৭ বার টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের বেশি করতে পেরেছে—তার মধ্যে ২ বারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দল:
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামিম পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
শ্রীলঙ্কা দল:
চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশল পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দুনিথ ভেল্লালাগে, মাহিশ থিকশানা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, চামিকা করুনারত্নে, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান তুষারা, বিনুরা ফার্নান্দো, ঈশান মালিঙ্গা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








