News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এই আগুন ধরিয়ে দেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। অনেককে কার্যালয়ের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের খোদাই করা গ্রাফিতি ভাঙতে দেখা গেছে।

এর আগে, শেখ হাসিনার বিচারকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রতিহত করতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। এই সময় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের ব্যানার ঝুলানো ছিল। ব্যানারের নিচে নেতা-কর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে লাঠি হাতে অবস্থান নেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট, হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা একই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। ভবনটি কিছুদিন পরিত্যক্ত থাকার পর সেখানে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন করা হয়, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির উদ্যোগে করা হয়।

আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায় সোমবার

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে কঠোর প্রহরায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে বুধবার থেকে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও সেনা সদস্যরাও কাজ করছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এই মামলার রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্যরা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়