ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন না হলে জনগণ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে, এবং সেই নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ তা কিছুতেই মেনে নেবে না।”
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে র্যালি শুরু হয়, যা সোনারগাঁও হোটেলের সামনে সার্ক ফোয়ারা পর্যন্ত যায়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে “আধুনিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা” আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কারের জন্য তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার যদি সেই সংস্কার বাস্তবায়ন শুরু করে, আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানাবো।”
তিনি অভিযোগ করেন, “দীর্ঘদিন ধরে ঐকমত্য তৈরির কাজের পর হঠাৎ এক উপদেষ্টা ঘোষণা দিলেন যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিন সময় দেওয়া হবে সিদ্ধান্ত নিতে। তাহলে এতদিনের আলোচনার ফল কোথায় গেল?”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “একটি দল চাপ সৃষ্টি করছে—নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, গণভোট নির্বাচনের দিনই হতে হবে। আলাদা দিনে ভোট দিলে অপ্রয়োজনীয় খরচ হবে এবং মূল নির্বাচনের গুরুত্ব হারাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে অংশ নেবো এবং ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।”
যুবকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, “আপনাদের ত্যাগ, শহীদ নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যান, বিজয় সুনিশ্চিত করুন।”
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপি মাঠে নামলে অন্য দলের নেতাদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না। ৭১ সালে যেমন জাতিকে বিভ্রান্ত করেছিলেন, এখনো তাই করছেন। সময় থাকতেই ক্ষমা চান।”
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের মাজারে জনতার ঢল
র্যালিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আবদুল মঈন খান, আব্দুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আসাদুল করিম শাহিন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, এস এম জিলানী, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, হেলাল খান, হাসান জাফির তুহিন, সানজিদা ইসলাম তুলি, রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।
বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ট্রাক ও সাজানো গাড়ি নিয়ে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে র্যালি এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








