ইবোলা ঠেকাতে গিনিতে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা
গিনির পাঁচটি অঞ্চলে প্রাণঘাতি ইবোলার বিস্তার ঠেকাতে ৪৫ দিনের জন্য ‘জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলফা কোদে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানান।
এএফপির খবরে বলা হয়, গিনির পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তাই ফোরক্যারিয়া, কোইয়া, ডুব্রেকা, বোফা ও কিনদিয়া অঞ্চলে ৪৫ দিনের জন্য স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট।
জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেন, "উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ইবোলার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ৪৫ দিনের জন্য স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।" রাজধানী কোনাক্রিতে লোকজনের ওপর নজরদারি বাড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গিনিতে ইবোলার বিস্তার শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত নয়টি দেশে ২৪ হাজারেরও বেশি লোক এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ সহস্ত্রাধিকের প্রাণহানি হয়েছে। ইবোলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে লাইবেরিয়া, সিয়েরালিওন ও গিনিতে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, "যারা এ রোগের কথা গোপন করবেন কিংবা এ রোগে মৃত ব্যক্তির লাশ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাবেন তাদের অন্যের জীবন হুমকির মুখে ফেলার দায়ে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা হবে।"
কোদে বেশ কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে-যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ইবোলা রোগী ছিল সেগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা। তিনি ইবোলার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছিল, অবশেষে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার বিস্তার হ্রাস পাচ্ছে। তবে ওইসব দেশে নতুন করে ইবোলার বিস্তারে ফের শংকা দেখা দিয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম








