News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:০৩, ২৩ জুলাই ২০২৫

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩১৯

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩১৯

ফাইল ছবি

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ফের বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (২২ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৯ জন রোগী।

বুধবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৃতদের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার এবং একজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে ২০২৫ সালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৪৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশালে সর্বোচ্চ ৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগরের দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯০ জন, ঢাকার অন্যান্য জেলায় ৫৯ জন, চট্টগ্রামে ৩৮ জন, রাজশাহীতে ৩০ জন, ময়মনসিংহে ৯ জন এবং রংপুরে ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১,৩১৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯২৯ জন।

আরও পড়ুন: একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪২৯ জন হাসপাতালে

চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৭ জন, যা বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। জুনে ১৯ জন, মে ও ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন করে, এপ্রিলে ৭ জন এবং জানুয়ারিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মার্চে কেউ মারা যাননি।

এ বছর জুলাই মাসে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী। জুনে ভর্তি হয়েছিলেন ৫ হাজার ৯৫১ জন। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১ এবং মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর, ২০২৩ সালে রেকর্ড ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকাজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক। বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও দুর্বল মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে রোগটি প্রতিবারই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যদি ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দেয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়