৫ আগস্ট ইতিহাস বদলের মুহূর্ত: মির্জা ফখরুল

গত বছরের ৫ আগস্ট এবং আজকের দিনে প্রবাসে অবস্থানরত তার মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের স্মৃতিচারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময়ের ভয়, সংশয় ও অবিচল বিশ্বাসের গল্প তুলে ধরে বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় স্মরণ করেছেন। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে’ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল লিখেছেন, সকালে উঠেই প্রথম ফোন করলাম আমার মেয়েকে। কণ্ঠ শুনে বুকটা ভেঙে পড়লো। এক বছর আগে এই সময়টায় ও আমাকে ফোন করেছিল। ও শুধু আমার মেয়ে না, হাজারো প্রবাসী সন্তানদের প্রতিচ্ছবি, যারা অপেক্ষায় ছিল, দুশ্চিন্তায় ছিল, ভয়ে কাঁপছিল। 

তিনি স্মৃতিচারণ করেন, সেই সময় ফোন বন্ধ ছিল, যোগাযোগ অসম্ভব ছিল। অনেক রাত ঘুমাতে পারেননি তারা। “কথা বলতে পারছিলাম না ঠিকমতো। ও শুধু জিজ্ঞেস করেছিল, ‘কী হচ্ছে?’ আমি কিছুই বুঝিয়ে বলতে পারিনি, শুধু বলেছিলাম—ইনশাআল্লাহ, জয়ী হবো।

আরও পড়ুন: ৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন: তারেক রহমান

দেশের ভিতরে যারা ছিলেন তাদের যন্ত্রণার কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, জানতে হবে, যারা বাইরে ছিল, তাদের যন্ত্রণা কোনো অংশে কম ছিল না। রাতজাগা, অশ্রু, আতঙ্ক সব আমাদের সাথেও ছিল। সেই সঙ্গে ছিল অটুট বিশ্বাস, যে অন্যায়ের পতন হবেই।

৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের একটি ‘ঐতিহাসিক দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, হাজারো শহীদ, হাজারো যোদ্ধার ত্যাগ শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়, এটি ইতিহাস বদলের মুহূর্ত। এটি বহু বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ফল, যা আমরা সবাই মিলে অর্জন করেছি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা চিরঋণী জুলাই ২০২৪ এবং গত ১৫ বছরের শহীদ ও যোদ্ধাদের প্রতি, প্রতিটি সংগ্রামী প্রাণের প্রতি। আমি কৃতজ্ঞ দেশের ভিতরে ও বাইরে থাকা প্রতিটি মানুষকে, যারা সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।

পোস্টের শেষ অংশে তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা অর্জন দায়িত্বও বটে। আমাদের করণীয় এখন এই অর্জনকে রক্ষা করা বুদ্ধি, সংযম আর সাহস দিয়ে।