চৌমুহনীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সোনাপুরে রেলওয়ের জায়গায় উঠছে ভবন
ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে রেলওয়ের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট উচ্ছেদ ও ২৬ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে। এদিকে সদর উপজেলার সোনাপুর থেকে উত্তর সোনাপুর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে একাধিক বহুতল ভবন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
উচ্ছেদ অভিযানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রে ও বেগমগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা অভিযানে মূলত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী। অভিযানে চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমে ও ইসলাম মার্কেটের সামনের রাস্তায় পাশে রেলওয়ের জায়াগায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা মোবাইল মেরামতের দোকান, কাপড়ের দোকান, হোটেলসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী ১০৭টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে অভিযানে রেলওয়ের ২৬শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
রেলওয়ের ট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, চৌমুহনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১০৭টি স্থাপনা ও ২৬ শতাংশ জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা, বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
অভিযানে রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহকারি ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আকবর হোসেন মুজুমদার, রেলওয়ের কানুনগো, স্টেশন মাষ্টারসহ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, জেলা সদরের সোনাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকার সোনাপুর জিরোপয়েন্ট থেকে উত্তর সোনাপুর পর্যন্ত সোনাপুর-মাইজদী আঞ্চলিক সড়কের পূর্বপাশে রেলওয়ের জায়গা একসনা বন্দোবস্থ ও কোথাও কোথাও অবৈধভাবে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল পাকা ভবন। এতে রেলওয়ের সম্পত্তি ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় সোনাপুর থেকে উত্তর সোনাপুর এলাকায় রেলওয়ের জায়গাগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেন প্রভাবশালীরা। সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন এবং প্রবাসী নুরুল আফসার সুমন নামের দুই ব্যক্তি উত্তর সোনাপুর এলাকায় রেলওয়ের ৪ শতাংশ ভূমি একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। এতে স্থানীয় এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ০১ ডিসেম্বর ওই জায়গার বন্দোবস্ত খারিজ করে দেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তার পরও তারা প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন গড়ে তোলছেন।
এলাকাবাসী জানান, শুধু মাইন উদ্দিন ও নুরুল আফসার সুমনই সরকারি জায়গায় ভবন তুলেছেন এমন নয়, রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারে বিপুল পরিমান সম্পত্তি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। জেলার চৌমুহনী এলাকার মতো উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ের জায়গা স্থায়ীভাবে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি








