News Bangladesh

নোয়াখালী সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ৩১ আগস্ট ২০২৫

নোয়াখালীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ২

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক মো.রফিকুল ইসলামকে (৫৫) কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

ঘটনার ৪দিন পর ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করে দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং ক্লুলেস এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ ও র‍্যাব-১১ সিপিসি-৩।

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীম মিয়া। এর আগে, শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রাম ও সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রাম থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

 আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্যসহ নিহত ৩

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামের মনির হোসেন (৩৭) একই গ্রামের মো.সেলিমের ছেলে মো.লিটন (২৬)।  

পুলিশ জানায়, নিহত অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলামের আদি নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা এলাকায়। বিয়ে করে ৪০ বছর যাবত তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীন বেপারী বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ২-৩ মাস আগে তিনি একটি নতুন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন। গত ২৫ আগস্ট সোমবার বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পায়। পরের দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তার গলায় দড়ির দাগের ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।  

পুলিশ আরও জানায়, শনিবার ৩০ আগস্ট রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের কামাল হোসেনের গ্যারেজ থেকে মূলহোতা মনিরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মনির স্বীকার করে ভিকটিম রফিকুল ইসলাম তার পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা এক সাথে আড্ডা দিতেন। সোমবার রাতে কোমল পানীয় স্পিডের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম বারবার পিছন পিছন আসে। পরে ওই অটোরিকশা করে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসামি মো. লিটনের সহযোগিতায় মনির হোসেন তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ  করে হত্যা করে। একপর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে নিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। আসামির দেওয়া তথ্যমতে চর জব্বর থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করা হয়।

চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীম মিয়া আরও বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। যাচাই বাচাই শেষে রিপন নামে এক তরুণ হত্যাকান্ডে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়