খুলনা কৃষি বিভাগের ৪৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতির বেশিরভাগই অকেজো

এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে কৃষি বিভাগের দেয়া বেশিরভাগ কৃষিযন্ত্রপাতি। ছবি: নিউজবাংলাদেশ
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ বাংলাদেশ। একারণে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন যাতে আমাদের খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত বা বাধাগ্রস্থ করতে না পারে এ জন্য জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় কৃষি সহনশীল, পতিত ও অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনার ধারাবাহিকতায় কৃষি অঞ্চল খুলনার কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন মান ও ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে ও কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যন্ত্র নির্ভর করতে কৃষি যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু সেসব যন্ত্রপাতি নিম্নমানের হওয়ায় বেশির ভাগ অকেজো।
উপকুলী এলাকায় জলবায়ুর অভিযোজন মোকাবিলায় খুলনা কৃষি অঞ্চলের (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং নড়াইল জেলার) ২৮টি উপজেলা ও ২টি মেট্রোপলিটন এলাকার পানি ব্যবস্থাপনা, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা ও উচ্চমূল্যের আধুনিক জাতের ফল এবং সবজি আবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গ্রহন করা হয় ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্প। তিন বছর মেয়াদে ৪৯ কোটি ৭১০ কোটি টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এর তেমন সুফল বয়ে আনেনি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেয়া অধিকাংশ যন্ত্রপাতি এখন বিকল।
ডুমুরিয়া উপজেলার ধামারিয়া ইউনিয়নের চেঢ়ুড়ি গ্রামের জালাল গাজী জানান, মাত্র কযেকদিন অঅগে তাকে কৃষি অফিস থেকে একটি ছোট পাওয়ার টিলার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এটি অঢ়ল। দুইদিন ধরে মেকানিক ডেকে এনও ঠিক করতে পারিনি।
বরুনা গ্রামের কৃষক পার্থ মন্ডল জানালেন, তাকে একটি ভুট্টা মাড়াইয়ের মেশিন দেয়া হয়েছে। কিন্তু অঢ়ল হযে আছে। মোটর সরাই করতে দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে উপকূলীয় উপজেলা কয়রার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাইমুর রহমান জানালেন, কৃষকের খরচ ও বাচাতে কৃষকদের মাঝে এ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক যন্ত্রপাতি দিয়েছে। তাতে কৃষকের উপকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে তিলের চাষ বেড়েছে ১২৬ হেক্টর
খুলনা শহর সংলগ্ন ডুমুরিযা উপজেলার উপ-সহকারি এক কৃষি কর্মকর্তা বর্নালী রানী জোয়াদ্দার জানালেন, কৃষকদেরকে চাষাবাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দেযা হযেছে। রক্ষণাবেক্ষনের খরচ ছাড়া আর সব কিছুই বিনামূল্যে সেবা দেয়া হয়।
ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ ফজলুল হক মনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে সুফলের জন্য যে সমস্ত যন্ত্রপাতি দেযা হয় সেটি সবক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয় না। এক্ষত্রে প্রতিটি যন্ত্রপাতি কৃষক গ্রহণ করেছে। আগামীতে কৃষকরা নিজেরাই যন্ত্রপাতি কিনে নেবেন।
কৃষ অঞ্চল খুলনা (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং নড়াইল)’র ৩০ টি উপজেলায় ২৬০ টি মিনি গার্ডেন টিলার, ২০০ টি ভূট্টার ডিবলার, ৮০০ কোকোনাট ক্লাইম্বার গাছিদের জন্য, ১০০০ টি ফুট পাম্প ৮ টি সূর্যমুখী এক্সপেলার বিতরন হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি