চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটি চুক্তি বৈধতা মামলার রায় ৪ ডিসেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত মামলার রুলের শুনানি শেষে আগামী ৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ জুলাই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করে জানতে চান—চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।

পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর থেকে মামলার রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। ২০ নভেম্বর আদালত মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন, রুলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিমসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

আরও পড়ুন: হাসিনা-রেহানা-টিউলিপের মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেন, রুলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনসিটি বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে না। 

একই সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

২০০৭ সালে নির্মিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগুলোর একটি। নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে প্রায় ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। দেশের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার পরিবহনের বড় অংশ এই টার্মিনালের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

সব পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনে হাইকোর্ট আগামী ৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করবেন। রায়ের মাধ্যমে এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বৈধতা প্রশ্নে দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।