News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ নয়, চতুর্দশ থেকে কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকার

ত্রয়োদশ নয়, চতুর্দশ থেকে কার্যকর তত্ত্বাবধায়ক সরকার

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবৈধ বাতিল রায় প্রত্যাহার করে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল করেছে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে, আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে। 

বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।

রায়ের প্রেক্ষাপটটি দীর্ঘ— ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী প্রবর্তিত হয়, যার মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে। এই ব্যবস্থার অধীনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে রায়

তবে ২০১১ সালে আপিল বিভাগের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়। ২০০৬–২০০৮ সালের অচলাবস্থা, প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক বিবাদ ও সেনা-সমর্থিত বিতর্কিত সরকার অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে আলোচিত হয়।

২০২৪ সালের সরকারের পতনের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন আবেদনকারীর রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে উঠলে গত ২০ নভেম্বর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, আপিল বিভাগ কেবল সাময়িক সমাধান দিতে চায় না, বরং নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থাকে স্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবশালী করার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে।

এবারের রায় অনুযায়ী, দেশের নির্বাচনী কাঠামোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় সংবিধানগতভাবে স্বীকৃত হবে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশ্বাস পুনঃস্থাপন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়