News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ফাঁসির রায় উদযাপনে মিলাদ মাহফিল থেকে আলিয়া মাদরাসায় সংঘর্ষ

ফাঁসির রায় উদযাপনে মিলাদ মাহফিল থেকে আলিয়া মাদরাসায় সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় শনিবার রাতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওবায়দুল হক। 

তিনি জানান, মিলাদ মাহফিল আয়োজন, মাইকের শব্দ ও নানা অভিযোগ ঘিরে ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

২২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যক্ষ বলেন, ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস দেখালেও আলিয়া মাদরাসা ক্যাম্পাস ছিল নিয়ন্ত্রণে।

তিনি বলেন, অনেক ছাত্র টিএসসি আর ধানমন্ডি ৩২–এ গিয়ে আনন্দ করেছে, কিন্তু ক্যাম্পাসে বড় কিছু হয়নি।

অধ্যক্ষের ভাষ্য, শুক্রবার বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের এক শিক্ষার্থী মার্কেটের সামনে ছোট পরিসরে মিলাদ মাহফিল করার অনুমতি চান।

“আমি বলেছিলাম, সময়টা মিলাদের না হলেও, যদি উচ্ছ্বাস দেখাতে চায়, যেন কাউকে বিরক্ত না করে। মিলাদ হলে হলে বা মসজিদে হওয়াই ভালো—এ কথাও বলেছিলাম,” জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত একাধিক শিক্ষার্থী

শিক্ষার্থীরা তাকে জানায়, রায়ের পর তারা ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো আয়োজন করেনি; তাই এবার আয়োজন করতে চায়। এ অবস্থায় তিনি মৌখিক অনুমতি দেন।

তবে পরে শিক্ষার্থীরা মিনি ট্রাক এনে সড়ক আটকে মাইক বসিয়ে মিলাদ আয়োজন করে—এ বিষয়টি তিনি সরাসরি দেখেননি। ছবি দেখে ঘটনাটি জানতে পারেন। মাইকের উচ্চ শব্দে অন্যান্য শিক্ষার্থী বিরক্ত হলে তিনি আয়োজকদের শব্দ কমাতে ফোন করেন।

সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এই বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, কে কোন সংগঠন করে, তা আমি জানি না। অভিযোগকারীরাও কারও নাম বা পরিচয় দিতে পারেনি।

মাদ্রাসার পাশের দোকানগুলো থেকে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগ উঠলেও অধ্যক্ষ এ বিষয়ে নিশ্চিত নন।

তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো প্রমাণ আসেনি। প্রমাণ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।

সংঘর্ষের সময় একজন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ।

তিনি জানান, বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরো ঘটনার কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি—“দুই–একটা চেয়ার উল্টে থাকতে দেখেছি; তার বেশি কিছু হয়নি।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়