News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

‘নির্বাচনে ইসিকে সহায়তা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী’

‘নির্বাচনে ইসিকে সহায়তা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী— এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সামনে দেশ গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে যাচ্ছে এবং এ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে বাহিনীর প্রধান অগ্রাধিকার। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে জন্য সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেনাবাহিনীও তাঁদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬৪ সেনাসদস্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মরণোত্তর স্বীকৃতিও রয়েছে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এছাড়া ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সেনাপ্রধান মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে জাতির চিরস্থায়ী প্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন।

২০২৪–২৫ এবং ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বিশেষ অবদানের ভিত্তিতে ৯ জনকে সেনাবাহিনী পদক, ১৭ জনকে অসামান্য সেবা পদক, এবং ৩৮ জনকে বিশিষ্ট সেবা পদক প্রদান করা হয়।

সেনাপ্রধান বলেন, দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং মানবকল্যাণে সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বেসামরিক প্রশাসনকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে আসছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে শুরু করে জাতিগঠনমূলক কার্যক্রম— প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাহিনী নিজেদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্জিত সুনামের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর ভাষায়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, আধুনিক ও বিশ্বমানে প্রতিষ্ঠিত বাহিনী।”

সেনাপ্রধান আরও বলেন, পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলাবোধ ও তীব্র দেশপ্রেমই সেনাসদস্যদের সক্ষমতার মূল শক্তি। ভবিষ্যতেও এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাহিনী দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখবে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানটি জাতীয় ঐতিহ্য, সামরিক মর্যাদা এবং জনগণের প্রতি সেনাবাহিনীর দায়বদ্ধতার এক প্রতীকী মেলবন্ধন হিসেবে চিহ্নিত হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়