News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৬০ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু শূন্য

২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৬০ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু শূন্য

ফাইল ছবি

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে ৪৬০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো দৈনিক পরিস্থিতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাবের ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে সর্বাধিক রোগী রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। এখানে ১৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৫ জন, বরিশালে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগের জেলা অঞ্চলগুলোতে ৭১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৫১২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৭৯,৪৬০ জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৩৯

চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩,০৬৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, তবে বছরজুড়ে ডেঙ্গুতে ৩২৬ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার গত বছরের তুলনায় কমলেও পরিস্থিতি এখনও নজরদারিতে রয়েছে। বর্ষা-পরবর্তী সময়ে মশাবাহিত রোগের বিস্তার রোধে জনসচেতনতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১,০১,২১৪ জন, আর মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৭৫ জন। তার আগে ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১,৭০৫ জনের, এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩,২১,১৭৯ জন।

পরিসংখ্যান বলছে, আক্রান্তের হার কমলেও ডেঙ্গুর প্রকৃতি এখনও পরিবর্তনশীল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত পরিচর্যা, বাসাবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসের কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সবশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ঋতুর পরিবর্তনের সময় ডেঙ্গু সংক্রমণ কমে এলেও সম্ভাব্য ঝুঁকি মাথায় রেখে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়