News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৪৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
আপডেট: ১৩:৪৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে শহীদ মিনারে শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’কর্মসূচিতে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক। 

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। 

জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করতে কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ যাত্রা শুর করব। শিক্ষকদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়েছিল। আজকে আমাদের উপর হামলা করলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষকরা জানান, আমাদের কর্মবিরতি চলবে। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না।

এর আগে, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ও পুলিশের বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল–কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

জতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, সরকারের প্রস্তাবিত বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

এর আগে রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংগঠনের নেতাদের আহ্বানে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

রবিবার ও সোমবার রাতভর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে।

অন্যদিকে, সারাদেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়