বুড়িগঙ্গা তীরে র্যাব-পুলিশের কার্যালয়
ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে র্যাব ও নৌ-পুলিশের কার্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে এজন্য আদালতের দিক-নির্দেশনা নেয়া হবে। একথা বলেছেন নৌ পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান।
রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও অন্যান্য নদ-নদীর নাব্য এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ২৮তম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
সভায় আরো জানানো হয়, র্যাব ও নৌ-পুলিশের কার্যালয় স্থাপনের জন্য কোন জায়গা দেয়া যায় তা নির্ধারণ করার আগে আদি বুড়িগঙ্গা জরিপ প্রস্তাবনা দেয়া হয়। এজন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে টাস্কফোর্সের সভাপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করবে।
সভার গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো, নদী দূষণকারী শিল্পমালিকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট গঠনসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করা, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক উদ্ধারকৃত জায়গায় বনায়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন করা।
সভায় আরো যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা হলো, হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প কারখানা দ্রুত সাভারে স্থানান্তরের অগ্রগতি পর্যালোচনা, হবিগঞ্জের সোনাই নদীর পাড়ে সায়হাম ফিউচার কমপ্লেক্সের মূল ভবন যেহেতু প্রায় ৬০ ফুট দূরত্বে আছে তাই এ ভবন নির্মাণে নদী রক্ষা করা এবং নদী সংলগ্ন স্থানে কোনো স্থাপনা না করে বনায়ন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদীসহ সংশ্লিষ্টরা।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিআইএস/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








