ভালো মানুষেরা নির্বাচনে আসুন: কামরুল
ঢাক: যারা ভালো মানুষ তারা নির্বাচনে আসুন। বড় মন নিয়ে, খোলা মন নিয়ে নির্বাচনে আসুন। সন্ত্রাস করে, ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনকে বানচাল করবেন না। নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে হবে। সন্ত্রাসী হয়েও কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। একথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ)- এর আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরোপেক্ষ হবে। তবে কেউ যদি সন্ত্রাসী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় এবং মনে করে, রাজনীতি করে বলে তাকে কিছু বলা হবে না তবে সে ভুল করবে। সন্ত্রাসী-অপরাধী হলে কাউকেউ ছাড় দেয়া হবে না। আইন সবার জন্য সমান।’’
বিএনপির উদ্দেশে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘‘নির্বাচনে আসবেন ভালো কথা, কিন্তু নির্বাচনের নামে পেট্রলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্ট করবে না। সে সুযোগ দেয়া হবে না।’’
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তিকে নিয়ে জিয়াউর রহমান একটি ককটেল দল গঠন করেছিলেন। আমি মনে করি, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।’’
বুদ্ধিজীবী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘১৯৭১ সালেও ড. এমাজউদ্দিনদের মতো বুদ্ধিজীবীরা ছিল। তখন ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ড. হাসান জামানের মতো বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানের বর্বরতাকে সমর্থন দিয়েছিল। তাই ড. এমাজউদ্দিনের মতো বুদ্ধিজীবীরা সর্বকালেই ছিল।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘তাদের অন্তর্জ্বালার প্রধান কারণ হলো, ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর-আলসামসদের বিচার করা হচ্ছে। তাই এ যুদ্ধ স্বাধীনতার পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তির যুদ্ধ।’’
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) সভাপতি ড. বশির উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম আলো, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও সভাপতিমন্ডলির সদস্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মজুমদার প্রমুখ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/টিএ/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








