`জীবন থেকে পালাতে চেয়েছিলেন` মেট্রো দুর্ঘটনায় নিহত আবুল কালাম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে আবুল কালাম আজাদ (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম আজাদ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ মেট্রোরেলের ওপর থেকে ভারী ধাতব বেয়ারিং প্যাডটি নিচে পড়ে কালামের মাথায় আঘাত হানে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। নিয়মিত ব্যবসায়িক কাজে ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট কালাম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায় বসবাস করতেন। তার ছেলে আব্দুল্লাহর বয়স ৫ বছর এবং মেয়ে সুরাইয়ার বয়স ৩ বছর। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনার প্রায় ১৫ ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আবুল কালাম লেখেন, “ইচ্ছে তো অনেক, আপাতত যদি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে পারতাম।”
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
নিহতের ভাবী আছমা আক্তার বলেন, “দুপুরে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়। বলেছিল, দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি আসবে, ইলিশ মাছ কিনে রাখতে বলেছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই শুনলাম, মেট্রোরেলের যন্ত্রাংশ পড়ে মারা গেছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।”
আরও পড়ুন: ‘শাপলা’ প্রতীক বিষয়ে সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহেই: ইসি
চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিল। নিজের চেষ্টায় ঢাকায় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিল। সরকারের অবহেলার কারণেই আজ সে মারা গেল। সরকার যেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়।”
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








