৫ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন স্থগিত
ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা পাঁচটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
বুধবার (১২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার আদালত রাষ্ট্রপক্ষের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। আইভীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে, ৯ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পোশাকশ্রমিক মিনারুল হত্যাসহ পাঁচটি মামলায় আইভীর জামিন দেন। হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই রায় দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ একই দিনে হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: আশরাফুলের জবানবন্দি: এসি-ওসির নির্দেশে গুলিতে নিহত আবু সাঈদ
২০২৪ সালের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আদমজী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম। তাকে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন তার গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর নিহত মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে (এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি)। এছাড়া মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে আইভীর বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের করা হয়।
গত ৯ মে আইভীকে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম দেওভোগে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
২৭ মে মিনারুল হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালত তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠান। চলতি বছরের মে মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্তর্ভুক্ত মিনারুল হত্যা মামলায় আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করলে রুল জারি করা হয় এবং ৯ নভেম্বর জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা ১২ নভেম্বর স্থগিত করার আদেশ কার্যকর হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








