মোটরসাইকেলে বেঁধে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেন বাবা!
মেয়েটির বয়স মাত্র ৮ বছর। তাকে মোটরসাইকেলে বেঁধে তার বাবা স্কুলে পৌঁছে দেন। এ ঘটনায় বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মেয়েকে মোটরসাইকেলে বেঁধে বাবা যাচ্ছিলেন স্কুলে। পথিমধ্যে এ দৃশ্য দেখে এক পথচারী চটপট ক্যামেরা বের করে তুলে ফেলেন ছবি। আর এ ছবি ছাপা হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে।
এর পরপরই বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে বিতর্কের ঝড় ওঠে। মেয়েকে মোটরসাইকেলে বেঁধে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করে ৪০ বছর বয়সী বাবাকে। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।
৮ বছরের একটি বাচ্চার সঙ্গে কেন এ ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ? এ বিষয়ে ওই বাবার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মেয়ের পরীক্ষা আছে। কিন্তু সে স্কুলে যেতে চায় না। তাই তিনি এ কাণ্ড করতে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযুক্ত বাবা দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। স্বায়ত্তশাসিত একটি স্কুলে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ছোট্ট মেয়েটির পরীক্ষা দিতে স্কুলে যেতে রাজি করাতে চেষ্টা করছিলেন তার বাবা। আর এজন্য বাচ্চাটিকে মিষ্টি ও উপহারের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চাটি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না।
পুলিশ আরো জানায়, এ অবস্থায় মেয়েটির বাবা তাকে মোটরসাইকেলের পেছনে বেঁধে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মথুরার পুলিশ সুপার শৈলেশ পান্ডে গণমাধ্যমকে জানান, ওই বাবার বিরুদ্ধে শান্তি-শৃঙখলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। কৃতকর্মের জন্য একদিন জেলে কাটাতে হলেও ওই ব্যক্তি মনে করেন, তিনি ঠিকই করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ওই বাবা জানান, তার মেয়েকে স্কুলে নিয়ে গেলে সে মরে যাবে না। কিন্তু লেখাপড়া না শিখলে সে অবশ্যই মারা যাবে।
উল্লেখ্য, ভারতে পুরুষ শিক্ষার হার ৮১ শতাংশ হলেও সে তুলনায় নারীশিক্ষার হার ৬৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি নারী শিক্ষার হার বাড়াতে অভিভাবকদের সচেতন করতে প্রচারণা বাস্তবায়নে বিশেষ জোর দিচ্ছেন।
এত কিছুর পরও এ প্রচারণায় সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এখনো অনেক মেয়ে শিশুর কাছে স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারটা স্বপ্ন। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার অনেক অভিভাবক মনে করেন, তাদের মেয়ের শিক্ষার কোনো দরকার নেই। সূত্র: বিবিসি বাংলা
নিউজবাংলাদেশ.কম/এটিএস
নিউজবাংলাদেশ.কম








