প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আংশিক সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে জিম্মিদের দ্রুত ও নিরাপদে মুক্ত করা সম্ভব হয়।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এবং লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এর আগে, ট্রাম্প হামাসকে তার প্রস্তাব গ্রহণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, রোববার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রস্তাব না মানলে হামাসকে ‘নরক যন্ত্রণা’ ভোগ করতে হবে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রস্তাব আংশিকভাবে গ্রহণ করছে এবং জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে প্রস্তাবের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
হামাসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার শাসনভার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থার (টেকনোক্র্যাট সরকার) কাছে হস্তান্তর করতে চায়। এই সংস্থা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব ও ইসলামি বিশ্বের সমর্থনের ভিত্তিতে গঠিত হবে।
হামাসের এই ঘোষণার পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “হামাসের সদ্য প্রকাশিত বিবৃতির ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি, তারা স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, চলমান সংঘাতের মধ্যে জিম্মিদের মুক্ত করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বন্দি ফ্লোটিলা অভিযাত্রীরা অনশনে
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার হোয়াইট হাউস ২০ দফাবিশিষ্ট একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্মতি দেন। ওই পরিকল্পনায় প্রস্তাব করা হয়— গাজায় তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বন্ধ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ২০ জন জীবিত জিম্মিকে ফেরত দেওয়া, মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তর, এর বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক শত শত গাজাবাসীকে মুক্তি দেওয়া।
ট্রাম্প বলেন, “যেসব বিষয় এখনো চূড়ান্ত হয়নি, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কাজ চলছে। এটি শুধু গাজা নয়, বরং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।”
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, বন্দিবিনিময়ে রাজি হলেও গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার নিয়ে হামাসের সঙ্গে আরও আলোচনা প্রয়োজন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








