News Bangladesh

আহ্সানুল আম্বীয় শোভন, যুক্তরাজ্য (লন্ডন) থেকে || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:২৮, ৩১ আগস্ট ২০২৫
আপডেট: ১৪:১০, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রকৃত সত্য তুলে ধরায় বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা 

প্রকৃত সত্য তুলে ধরায় বাড়ছে সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা 

প্রকৃত সত্য তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় নির্যাতিত হন অনেক সাংবাদিক। ফাইল ছবি

প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করার কারণে কথায় কথায় সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। এমনকি পুলিশ সদস্য বা অন্য সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বাড়ছে সাংবাদিককে তলবও করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসীদের কথা না মানলে অনেক ক্ষেত্রে নৃশংসভাবে হত্যাও করা হচ্ছে সাংবাদিকদের। দেশজুড়ে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন নিয়ে বিভিন্ন দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এছাড়া চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি উন্মোচন করতে গিয়ে চরম বিপদের মুখোমুখি হচ্ছেন দেশের সাংবাদিকরা। সত্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাদের।

বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ঘটনা পর্যালোচনা করে জানা যায়- ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত জুলাইয়ের মধ্যে দেশে ৪৯৬ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত ৪ আগস্ট ধানমণ্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এসব ঘটনায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। 

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদের সই করা বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে গণমাধ্যম ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা দুঃখজনক। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা নিয়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, সেখানে তথ্য প্রকাশ, মত প্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত হবে বলে নোয়াব আশা করেছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত এক বছরে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সংবাদপত্র কিংবা গণমাধ্যমে ‘মব’ সৃষ্টি করে মালিকপক্ষকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত আরো মজবুত করবে।

আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ৬ সংবাদকর্মী, নির্যাতিত হন অনেকে
 
টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,তিনজন সাংবাদিক দায়িত্ব পালনকালে হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে, এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার জন হয়েছে। টিআইবি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি।

অন্যদিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সাত মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাধা ও হামলায় আহত হয়েছেন ২৭৪ জন সাংবাদিক।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশে ২৭৪টি হামলার ঘটনায় ১২৬ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬৫টি ঘটনায় ৯৫ জন সাংবাদিক হামলায় আহত হন। এর বাইরে গত মার্চে রাজধানীতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী সাংবাদিক।

এমন তথ্য উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) ও অধিকারের প্রতিবেদনে।

এর আগে, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে তিনি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে ফেসবুকে লাইভ প্রতিবেদন করেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। ছেলের এমন মৃত্যুতে  ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা মো. জামাল বলেন, ‘কী অপরাধ ছিল আমার ছেলের? তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও। ’

তুহিন হত্যাকাণ্ডের আগের দিন গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার কাছে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এই সাংবাদিক বাঁচার জন্য আকুতি জানালেও দুর্বৃত্তদের মন গলেনি।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন ২০ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন ৩৪ জন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ জন সাংবাদিক। একই সময় ২২টি মামলায় ৯২ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। একই সময় সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর অধীনে দায়ের করা অন্তত ১৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১২ জন এবং অভিযুক্ত করা হয়েছে ২৩ জনকে। এ ছাড়া সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে অন্তত ১৭টি হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১৫ জন, হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন পাঁচজন এবং লাঞ্ছিত হয়েছেন পাঁচজন। এ ছাড়া দুই মামলায় দুজন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এইচআরএসএসের প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এসব বর্ণনা উঠে এসেছে। 

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট থেকে গত জুন পর্যন্ত ১৬৫ জন সাংবাদিক হামলা ও নাজেহালের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে আহত হয়েছেন ৯৫ জন, লাঞ্ছিত হয়েছেন ৩২ জন, আক্রমণ করা হয়েছে পাঁচজনকে, হুমকি দেওয়া হয়েছে ২২ জনকে এবং মামলার আসামি করা হয়েছে ১১ জনকে।

অন্যদিকে, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে ১৯৬টি। এর মধ্যে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার সুজানগর প্রতিনিধি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান হামলার শিকার হন। গত বছরের অক্টোবরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে হামলার শিকার হন দৈনিক কালবেলার রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর মাহমুদ। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 

চলতি মাসের শেষদিন ৩১ সেপ্টেম্বর খুলনার  খানজাহান আলী রুপসা সেতুর ২ নং পিলারের বেজমেন্ট থেকে সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর  লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি স্বেচ্ছায় সেতুর উপর থেকে লাফ দিয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। র‍্যাব-৬ এর উপ অধিনায়ক মেজর মারুফ লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

নৌপুলিশ রূপসা ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবুল খা‌য়ের জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা লাশটি উদ্ধার করেন। তার পরনে ছিল ব্লু রঙের গ্যাবাডিন প্যান্ট ও আকাশি রঙের টি-শার্ট। তার ডান হাত ও মুখমন্ডল ক্ষতিগ্রস্থ ছিল।

এর আগে, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ ও স্বজনেরা। ৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। গতকাল সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে গতকাল রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল পরিবার।

এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ১০ অক্টোবর দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান তামিমকে বাসায় ঢুকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ১২ অক্টোবর ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় বাড়ির সামনে তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি স্বপন কুমার ভদ্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গত ২৭ আগস্ট রাতে হাতিরঝিল থেকে পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর লাশ। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পৌর মেয়র, ইটভাটার মালিক, অজ্ঞাত মোবাইল থেকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। এ ছাড়া ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থী এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সাংবাদিকরা হুমকি পাচ্ছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসীদের নির্যাতন, অপহরণ ও বোমা হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কিছু সদস্যের মাধ্যমেও নির্যাতন ও হুমকির শিকার হচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে, বাংলা ট্রিবিউনের রূপগঞ্জ প্রতিনিধি লিখন রাজকে ঘুষসংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

আরও পড়ুন: ১০ মাসে গ্রেপ্তার ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৮ জন

লিখন রাজ বলেন, তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদের স্বাক্ষরে জারিকৃত নোটিশ অনুযায়ী, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের স্বার্থে’ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। নোটিশ প্রাপ্তির দুই কর্মদিবসের মধ্যে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে এবং অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক মিন্টু কুমারের নাম সেখানে উল্লেখ রয়েছে। পিবিআই নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে, সাংবাদিক কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, সূত্র কী ছিল ও তথ্যের উৎস নির্ভরযোগ্য কি না—এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্যই এই নোটিশ। এটি কোনো ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়, বরং তথ্য যাচাইয়ের অংশ। গত ৩ আগস্ট বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাফিজুর রহমান একটি মামলার বাদীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। গত ২ আগস্ট এসংক্রান্ত একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩ আগস্ট পিবিআই সদর দপ্তর থেকে হাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তবে সেই বরখাস্তের তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয় গত ৪ আগস্ট।

দেশজুড়ে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতন নিয়ে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হামলা।

লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়