News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ২৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৭:২১, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

কার্যাদেশের আগেই সড়ক সংস্কার!

কার্যাদেশের আগেই সড়ক সংস্কার!

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজ পাড়া এলাকার একটি রাস্তায় ইট বিছানো হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, কার্যাদেশ পাওয়ার আগেই সড়ক সংস্কারেরে এ কাজ শুরু করে দিয়েছেন ঠিকাদাররা।

পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মার্জেদ আলী এ কাজ করাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, “কাজের দরপত্র দাখিল হয় ১১ মার্চ। পরদিন ১২ মার্চ থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। ৪০ লাখ টাকার নটি কাজের মধ্যে চারটি কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। যদিও এখনো কোনো কার্যাদেশ দেয়নি কালীগঞ্জ পৌরসভা। কাজগুলো যারা করছেন, তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা।”

পৌরসভার একটি সূত্র জানায়, “পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ছোট ছোট রাস্তা তৈরির জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয় ১৯ ফেব্রয়ারী।”

ঠিকাদারদের একটি সূত্র জানায়, “দরপত্র জমা দেওয়ার পরের দিন ১২ মার্চ কাজ শুরু করেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ উপজেলা কমিটির আহবায়ক রেজাউল করিম। তিনি নিজ নামের লাইসেন্সে দরপত্র দাখিল করেন। পৌর এলাকার ঈশ্বরবা ও কাশীপুর গ্রামে পাঁচটি রাস্তার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন তিনি।”

সূত্র জানায়, “একইভাবে কাজ শুরু করেছেন পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মার্জেদ আলী। তিনি অন্য একজন ঠিকাদারের লাইসেন্স ব্যবহার করে দরপত্রে অংশ নেন। দরপত্র চূড়ান্ত না হলেও তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু করছেন।”

ঠিকাদারেরা জানান, “এই কাজগুলো কোন ঠিকাদার পাবেন, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তাহলে সেসব কাজ কীভাবে শুরু করা হলো?”

রেজাউল করিম জানান, “কাজগুলো তিনি পাবেন এমন আশা নিয়েই শুরু করেছেন। এ বিষয়ে পৌরসভার মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।”

মার্জেদ আলীও একই কথা জানালেন। কালীগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু বলেন, “এবিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।”

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল ওহাব বলেন, “কাজ শুরুর বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। দরপত্র কেবল জমা নেওয়া হয়েছে। এখনো যাচাই-বাছাই চলছে।”

বিষয়টি শোনার পর তারা কাজ করতে নিষেধ করলেও ঠিকাদাররা শুনছেন না বলে নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, “পৌরসভার একজন কার্য সহকারীর দাঁড়িয়ে থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার কথা থাকলেও কোনো তদারকি ছাড়াই কাজ চলছে। তাই কাজের মান খারাপ হওয়া স্বাভাবিক।”

নিউজবাংলাদেশ.কম/কেজেএইচ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়