পঞ্চগড়ে বাড়ছে, শীতের তীব্রতা, ১৩ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ডিগ্রির ঘরে নেমে আসায় উত্তরবঙ্গজুড়ে শীতের প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে নবান্নের মৌসুমি উচ্ছ্বাস ও শীতঘেরা সকালের আমেজ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এর আগের দিন বুধবার সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, চারদিক হালকা কুয়াশায় ঢাকা। সূর্যের আলো ফুটলেও বাতাসে বইছে হিমেল পরশ। ঘাসের ডগায় ঝরছে শিশিরবিন্দু, গ্রামীণ জনজীবনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে শীতের ছোঁয়া। বেলা বাড়লে খানিকটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই বাতাসে ফিরে আসে শীতের শিরশিরানি। অনেক এলাকায় স্থানীয়রা ইতোমধ্যে লেপ-কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নামছে শীত, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পঞ্চগড়ের নিকটেই রয়েছে পৃথিবীর দুটি সুদীর্ঘ পর্বতমালা—হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। এসব তুষারাচ্ছন্ন পর্বত থেকে নেমে আসা ঠাণ্ডা বাতাস সরাসরি এ অঞ্চলে প্রবেশ করায় শীতের প্রভাব এখানে বেশি থাকে। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পঞ্চগড়ে শীত আসে আগেভাগেই।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। প্রতিদিনই পারদ নিচের দিকে নামছে, এতে শীতের মাত্রা বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।
স্থানীয়রা বলছেন, শীতের আগমনেই শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি। খামারে নতুন ধান কাটা, পিঠা-পায়েসের আয়োজন আর হালকা কুয়াশার সকাল—সব মিলিয়ে প্রকৃতির এই রূপই যেন পঞ্চগড়ের শীতের আগমনী বার্তা বহন করছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








