News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১২ নভেম্বর ২০১৯
আপডেট: ২১:১১, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আর দেখা যাবে না সোহার হাসিমুখ

আর দেখা যাবে না সোহার হাসিমুখ

বাঁ পাশের হাসিমুখের ফুটফুটে মেয়েটি এখন নিথর হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। তার নাম সোহা মনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের একজন এই ফুটফুটে শিশুটি। বাবা মার সঙ্গে সে ট্রেনে চেপেছিল। কিছু মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ছোট্ট সোহা চলে গেল না ফেরার দেশে।

সোহা হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সোহেল মিয়ার মেয়ে।

সোশ্যাল সাইটে অনেকেই জেনে-না জেনে লিখে যাচ্ছেন যে, শিশুটির ঠিকানা পাওয়া যায়নি যা ঠিক নয়। সোহাদের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায়। এই দুর্ঘটনায় সোহার বাবা-মা গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রথমে তাদেরকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছোঁয়ার বাবা-মা ঢাকার পথে রয়েছেন।

অভিভাবক হিসেবে ছোঁয়ার মামা মোহাম্মদ জামাল মিয়া মরদেহ গ্রহণের প্রকৃয়াদি সম্পন্ন করছেন। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য দরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ের কর্মকর্তারা সব প্রকৃয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করছেন।

উল্লেখ্য, গতরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সিগন্যাল অমান্য করা ট্রেন তূর্ণা নিশীথার ধাক্কায় উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝের দুইটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশ শোকাহত।

 

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়