আরপিও সংশোধনী বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে বিএনপির চিঠি
ফাইল ছবি
জোটবদ্ধভাবে জাতীয় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সংশোধনী বাতিল করে পূর্বের বিধান বহাল রাখার দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে দলটি।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ।
ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, জোট করলেও ভোট করতে হবে নিজস্ব প্রতীকে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এই সংশোধনীর সঙ্গে বিএনপি একমত নয়। পূর্বের অবস্থা বহাল রাখার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সিইসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই সংশোধনের প্রস্তাব ছিল না। বিএনপি এর সঙ্গে একমত পোষণ করে না, এটি গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে’
বিএনপির এই উপদেষ্টা জানান, বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পর্যায়েও নির্বাচন কমিশনে আরও একটি চিঠি দেওয়া হবে।
তার ভাষায়, জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার সময় দলগুলোর প্রতীক পছন্দের অধিকার থাকা উচিত। এটি রাজনৈতিক স্বাধীনতারই অংশ।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
দলটি বলছে, নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত কার্যত জোট রাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করবে এবং ছোট ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে, যেখানে বলা হয়েছে—জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রতিটি প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। পূর্বের বিধানে জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে একক প্রতীকে (যেমন ধানের শীষ বা নৌকা) ভোটে অংশ নিতে পারত।
এই সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
দলটি বলছে, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক জোটের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পূর্বের বিধান পুনর্বহাল করা জরুরি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








