বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: নতুন রাষ্ট্রদূত
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সিনেটে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন।
তিনি বলেছেন, “আগামী বছরের নির্বাচন গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নতুন সরকার নির্বাচিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে এই নির্বাচন হবে একটি মাইলফলক।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এ কথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে বাংলাদেশে পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, সিনেট অনুমোদন দিলেই তার নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে।
শুনানিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সিনেট অনুমোদন পেলেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থ এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করবেন তিনি।
২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বড় প্রতিবেশী দেশগুলোর ছায়ায় থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ একটি কৌশলগত অংশীদার।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ চূড়ান্ত হলে আমি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলায় নেতৃত্ব দেব।”
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে ক্রিস্টেনসেন বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ রয়েছে—এটি জনগণের দৃঢ়তা ও সহনশীলতার প্রতীক।” তিনি ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানো, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা কমানো এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: পলাতক আসামি ভোটে প্রার্থী হতে পারবে না
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, “গত আট বছর ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। আমি নিজে কক্সবাজারে গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি।” তবে তিনি সতর্ক করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এককভাবে তহবিল সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়; এজন্য অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








