News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ২২ অক্টোবর ২০২৫

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ

জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে দায়িত্ব নেওয়ার পর নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও গভীর হবে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্রমশ বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে—এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

রাষ্ট্রদূত সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, বিশেষ করে জুলাইয়ে গৃহীত জাতীয় সনদের উদ্যোগ উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসতে দেখা সত্যিই আনন্দের বিষয়। নির্বাচনের পরও এসব সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসিয়ে সনদে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে যা প্রয়োজন করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

তিনি বলেন, এটি ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে এটি জনগণের আস্থা গড়তে সহায়তা করেছে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে এবং গণতান্ত্রিক আনন্দ উপভোগ করবে।

সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত জার্মানিতে পড়াশোনা করতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ার কথাও উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে স্বাগত জানান।

তারা বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি এবং এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। আশা করি নতুন রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

প্রধান উপদেষ্টা তরুণ প্রজন্মের শক্তি নিয়েও মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে আজকের তরুণরা সহজেই কথা বলতে পারে, একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারে।

তবে তিনি ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে বলেন, ভ্রান্ত তথ্য এখন নির্বাচনের আগে আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশের পাশাপাশি ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটি আশাব্যঞ্জক।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়