ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২, নতুন আক্রান্ত ৭৬২

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজন রোগীর মৃত্যু এবং ৭৬২ জন নতুন রোগীর ভর্তি হয়েছে যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ বৃদ্ধি করছে। 

মৃতদের মধ্যে একজন নারী এবং একজন পুরুষ। নারীর বয়স ৭০, তিনি ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আর পুরুষের বয়স ৬৫, তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৫ জন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সংখ্যা বিভাগের ভিত্তিতে বরিশাল বিভাগে ১২৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৯ জন ঢাকা বিভাগে ১৭০ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৬০ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০০ জন খুলনা বিভাগে ৪০ জন ময়মনসিংহে ৪১ জন রাজশাহীতে ৩৯ জন রংপুরে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন। নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে নারী ২৫৯ জন এবং পুরুষ ৫০৩ জন।

একই সময়ে ৯৭১ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর পর্যন্ত মোট ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৫৯,৪৯২ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২,৮৭৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮১৪

চলতি বছরে মোট ৬২,৩৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মাসিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানুয়ারিতে ১০ জন ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন মার্চে মৃত্যু হয়নি এপ্রিল ৭ জন মে ৩ জন জুন ১৯ জন জুলাই ৪১ জন আগস্ট ৩৯ জন সেপ্টেম্বর ৭৬ জন এবং অক্টোবরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ৫৭ জন মারা গেছেন। সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বাধিক ৭৬ জন। মাসিক হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন মার্চে ৩৩৬ জন এপ্রিল ৭০১ জন মে ১,৭৭৩ জন জুন ৫,৯৫১ জন জুলাই ১০,৬৮৪ জন আগস্ট ১০,৪৯৬ জন সেপ্টেম্বর ১৫,৮৬৬ জন এবং অক্টোবরের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫,০২৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৩,২১,১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এবং ১,৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু দুই জন নতুন ভর্তি ৭৬২ জন মোট মৃত্যুর সংখ্যা চলতি বছর ২৫৫ জন মোট ভর্তি ৬২,৩৬৭ জন মোট ছাড়পত্র ৫৯,৪৯২ জন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২,৮৭৫ জন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগীদের সচেতন হওয়ার জন্য মশা নিয়ন্ত্রণ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ফেনল ব্যবহার এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।