News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১

ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৮৪১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 
এতে বলা হয়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৫৭ জন।

বিভাগভিত্তিক রোগী ভর্তি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭৩ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, মোট ৩০১ জন। এর বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় ২১৪ জন, চট্টগ্রামে ১০৬ জন, বরিশালে ১২৫ জন, খুলনায় ২৬ জন, ময়মনসিংহে ১৯ জন, রাজশাহীতে ৪৭ জন এবং সিলেটে তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ৩৫৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৫৭

ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৬১ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

পূর্ববর্তী বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১,০১,২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১,৭০৫ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩,২১,১৭৯ জন রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সকলকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এডিস মশার বিস্তার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে নগর এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং ব্যক্তিগত সতর্কতা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই হতে পারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের মূল কৌশল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়