পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের গোলাগুলি
ফাইল ছবি
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে আবারও ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে উভয় পক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার ( ৬ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, পাকিস্তানই প্রথম কান্দাহার প্রদেশের বোলদাক এলাকায় হামলা চালায়। অন্যদিকে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগান সেনারাই আগে চামান সীমান্তে ‘বিনা উস্কানিতে’ গুলি ছোড়ে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র মোশাররফ জাইদি বলেন, “পাকিস্তান পুরোপুরি সতর্ক আছে। দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নাগরিকদের নিরাপত্তায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
এর দুইদিন আগে সৌদি আরবে শান্তি আলোচনায় বসেছিল ইসলামাবাদ ও কাবুল। যদিও কোনো অগ্রগতি হয়নি, তবুও যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দুই দেশ। কিন্তু আলোচনার অল্প সময়ের মধ্যেই ফের সংঘর্ষে জড়ালো তারা।
গত অক্টোবরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় ধরনের সরাসরি সংঘাত হয়, যা কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় থামানো হয়েছিল। এরপর কিছুদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক হামলা ও উত্তেজনায় সীমান্ত পরিস্থিতি আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
এদিকে পাকিস্তানে গত কয়েকদিনে একাধিক আত্মঘাতী ও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। দেশটির দাবি, আফগান নাগরিকরা আফগানিস্তানের মদদে এসব হামলা পরিচালনা করেছে। তবে আফগানিস্তান এ দাবি অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য তাদের দায়ী করা যায় না।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় খাদ্য সংকটে ৬০ হাজার পেঙ্গুইনের করুণ মৃত্যু
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক অস্থিতিশীল এবং সীমান্তে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি








