ইলন মাস্কের এক্সকে ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনলাইন কনটেন্ট আইন না মানায় ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (আগের টুইটার)–কে ১২০ মিলিয়ন ইউরো, অর্থাৎ প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে ইইউর প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর)  জানানো এই সিদ্ধান্তই নতুন ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)–এর আওতায় প্রথম বড় শাস্তি।

ইইউর অভিযোগ, এক্স অবৈধ ও ক্ষতিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। পাশাপাশি নীল ব্যাজ প্রদর্শনের পদ্ধতিতে বিভ্রান্তি, বিজ্ঞাপনের তথ্যভান্ডারে অস্পষ্টতা এবং গবেষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য না দেওয়াও আইনভঙ্গের অন্তর্ভুক্ত।

টিকটকের বিরুদ্ধেও তদন্ত চললেও কিছু পরিবর্তনের আশ্বাসে তারা আপাতত জরিমানা এড়িয়েছে।

ইইউর প্রযুক্তি প্রধান হেনা ভিরক্কুনেন বলেন, শাস্তির উদ্দেশ্য সেন্সরশিপ নয়-উদ্দেশ্য অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তার ভাষায়, “আইন মানলে কোনো জরিমানা নেই-ব্যাপারটা খুব সহজ।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্তের রায় আরও দ্রুত দেওয়া হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক্স -এ মন্তব্য করে বলেন, ইইউ অযথা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্য করছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। তবে ইউরোপীয় কমিশন বলছে, আইনের লক্ষ্য কোনো দেশ নয়-লক্ষ্য ডিজিটাল নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা।

মেটা, টিকটক ও চীনা প্ল্যাটফর্ম টেমুর বিরুদ্ধেও ডিএসএ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এক্স এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

আরও পড়ুন: কম্পিউটার মেলা শুরু ৮ ডিসেম্বর

ডিএসএ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ৬ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এক্স–কে দেওয়া এই জরিমানা ভবিষ্যতের জন্য শক্ত সতর্কবার্তা।