News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:১০, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

এনসিপির সমন্বয় সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১

এনসিপির সমন্বয় সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংঘর্ষে বংশাল থানার ইউসুফ নামে একজন কর্মী আহত হন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কনভেনশন হলে তৃতীয় তলায় ঢাকা মহানগর ও জেলা ইউনিটের সমন্বয় সভা চলাকালীন সময়ে দ্বিতীয় তলায় মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। রাত সোয়া ৬টার দিকে এই উত্তেজনা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি তিন মাস আগে শুরু হওয়া আর্থিক লেনদেনের বিরোধের সঙ্গে যুক্ত। বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করেন। পরে বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতা শোয়েবের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানার রিয়ান নামে এক নেতাকে জানানো হয়। 

অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন, তা ফেরত দেয়নি এবং তাদের আটকে রাখারও চেষ্টা করেছেন।

আরও পড়ুন: এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের খবর গুজব

বেশ কয়েক মাস ধরে বংশালের নেতারা রিয়ান থেকে টাকা ফেরত চেয়েও ব্যর্থ হন। শুক্রবার কনভেনশন হলে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের ছবি তোলার পথেও বাধা দেন।

বংশাল থানার নেতা সৌরভ বলেন, দুই মাস আগে ব্যবসার কাজে মোহাম্মদপুর গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে আমাদের থানার নেতা ইমতিয়াজ ছিলেন। তখন মোহাম্মদপুরের এনসিপির নেতা রিয়ান আমাদের থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আজ সমন্বয় সভায় রিয়ানের সঙ্গে দেখা হওয়ায় আমরা টাকা চাই, কিন্তু সে দিতে অস্বীকার করে। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়, আমরা পাল্টা প্রতিহত করি। সভার সময় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চললেও কোনো কেন্দ্রীয় নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ বলেন, সমন্বয় সভার বাইরে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দুই পক্ষের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। পরে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়ে গেছে। আর মারামারির যে ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে, সেটা দুজন কর্মীর পুরোনো ব্যক্তিগত লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে। দলীয় কোনও কারণে নয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত না থাকলেও বিষয়টি কনভেনশন চলাকালীন সময় প্রায় আধা ঘণ্টা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। এই ঘটনা দলের অভ্যন্তরীণ আর্থিক বিরোধ ও ব্যক্তিগত বিরোধের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়