মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
ফাইল ছবি
মালদ্বীপে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশির জন্য জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। যারা এখনো বায়োমেট্রিক তথ্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি, তাদের দ্রুত এ প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
হাইকমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমা—আগামী ১৫ নভেম্বর—এর মধ্যে নিবন্ধন না করলে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে প্রবাসীদের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের রাজধানী মালেতে অবস্থিত জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র (National Centre for Information Technology - NCIT) ভবন অথবা নিকটস্থ আইল্যান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য নিবন্ধন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপে বাংলাদেশের নিন্দা
হাইকমিশন নিশ্চিত করেছে, এই প্রক্রিয়ার আওতায় পড়বেন—
- আগে যারা কখনো বায়োমেট্রিক তথ্য দেননি,
- নতুন বা পুরোনো কর্মী উভয়ই,
- বৈধ কাগজপত্রধারী এবং অনথিভুক্ত (নথিহীন) বাংলাদেশি নাগরিক— সবাইকেই বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও কঠোরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য নিবন্ধন করবেন না, মালদ্বীপ কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বলেছে—“এই বিষয়ে অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে। মালদ্বীপ সরকারের নিয়ম মেনে দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করা প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।”
হাইকমিশন সবাইকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার পাশাপাশি, সচেতনতা বৃদ্ধি ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মালদ্বীপ সরকার সম্প্রতি দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের তথ্য হালনাগাদ ও যাচাইয়ের অংশ হিসেবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহ চলছে। মালদ্বীপে বর্তমানে আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত বলে হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








