প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আটক পুলিশ, স্থানীয় উদ্যোগে বিয়ে
ছবি: নিউজবাংলাদেশ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল ইমরুল কায়েস (৩৪)। পরে স্থানীয়দের চাপে ওই গৃহবধূর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী বসুনিয়াটারী গ্রামে।
স্থানীয়রা পুলিশ কনস্টেবলকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। পরদিন শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল কায়েস গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ি গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। তার বিপি নম্বর ৯০১১১৩৭৮২২।
সরেজমিনে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইমরুল কায়েস ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। প্রবাসীর স্ত্রী দাবি করেন, ইমরুল তার আত্মীয়। তবে এলাকাবাসী তার অবাধ যাতায়াতকে মেনে নিতে পারেননি। ঘটনার রাতে তারা পাহারা দিয়ে তাকে আটক করেন। জানা গেছে, উভয়ের সংসারে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নারী-শিশুসহ ৪৪ জিম্মি উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সুমন মিয়া (৩২) বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ সদস্য মেয়ের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। রাত ১১টার দিকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন। পরে আমরা তাদের আটক করি।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আতোয়ার রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুলিশ সদস্য ড্রেসিং টেবিলের পাশে লুকিয়ে আছেন। তার পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি ছিল।
কাজী মো. হামিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বহু লোকজন জড়ো হয়েছে। পরে প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর স্থানীয়দের চাপে পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মধ্যস্থতাকারী মো. শামসুজ্জামান প্রামানিক তনু বলেন, উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে তালাক ও বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। পরে কনস্টেবল তার নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি








