করদাতাদের জন্য সহজ হলো অনলাইন রিটার্ন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘোষণা করেছে, চলতি অর্থবছর থেকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে করদাতাদের আর কোনো কাগজপত্র বা দলিলাদি আপলোড করার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলেই রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে। এনবিআরের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া আরও সহজ এবং সুবিধাজনক হয়েছে।

চলতি অর্থবছর থেকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব করদাতার জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রিটার্ন জমার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। 
এনবিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ পর্যন্ত সাড়ে আট লাখ করদাতা ইতোমধ্যেই অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন।

এনবিআর জানিয়েছে, করদাতাদের আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের তথ্য যে দলিল বা কাগজের ভিত্তিতে তৈরি হবে তা নিজ হেফাজতে রাখতে হবে। কর কর্মকর্তারা যখন রিটার্ন নিরীক্ষণ করবেন, তখন প্রয়োজন হলে এই দলিল প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতাদের জন্য প্রয়োজন হতে পারে নিম্নলিখিত তথ্য:

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে আইএমএফের প্রশংসা

• বেতন খাতের আয়ের দলিল
• সিকিউরিটিজের সুদ আয়ের সনদ
• ভাড়ার চুক্তিপত্র
• পৌর করের রসিদ
• বন্ধকি ঋণের সুদের সনদ
• মূলধনি সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিপত্র ও রসিদ
• লভ্যাংশের ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট
• উৎসে কর কাটার সার্টিফিকেট
• কর রেয়াত পেতে বিনিয়োগের প্রমাণপত্রও প্রয়োজন হবে। যেমন:
• জীবন বিমার প্রিমিয়াম রসিদ
• ভবিষ্য তহবিলে চাঁদার সনদ
• সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস)
• কল্যাণ তহবিল বা জাকাত তহবিলে চাঁদা প্রদানের সনদ

সব করদাতা ২০২৫–২৬ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন এনবিআরের ওয়েবসাইটে— https://www.etaxnbr.gov.bd। অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য টিআইএন নম্বর এবং বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। রিটার্ন সফলভাবে জমা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাপ্তি রসিদ পাওয়া যাবে।

করদাতারা ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে ঘরে বসেই কর পরিশোধ করতে পারবেন।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় কোনো সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিলে এনবিআরের কল সেন্টার এবং অনলাইন সহায়তা কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যকর থাকবে, যা করদাতাদের জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান নিশ্চিত করবে।