চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ (২২) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডের মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে এক্সেস রোডে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ বাকলিয়ার তক্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মো. আলমের ছেলে। তার পরিবার জানায়, তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আহতরা হলেন- জুয়েল, সাব্বির, শরীফ, ইয়াসিন, একরাম, পারভেজ ও মারুফ; তারা সবাই বাকলিয়ার বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা ও যুবদল নেতা বোরহান-এর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ দেখা দেয়।

বোরহানপন্থীরা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিসহ একটি ব্যানার তানেন সৈয়দ শাহ রোডে। রাতে বাদশার অনুসারীরা মেয়রের নির্দেশের কথা বলে ব্যানারটি নামাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাজ্জাদসহ অন্তত ৮–১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাজ্জাদের বড় ভাই মো. ইমরান বলেন, “আমার ভাইকে মোবারক নামে এক বিএনপি কর্মী রাতে ফোন করে ডেকে নেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোলাগুলির খবর পাই। পরে জানতে পারি, সে মারা গেছে।”

দলীয় সূত্র জানায়, এমদাদুল হক বাদশা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকলেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত জুলাইয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এক যুবক নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।”