News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

অস্ত্র মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

অস্ত্র মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ফাইল ছবি

অবৈধভাবে বিদেশি পিস্তল ও গুলি রাখার দায়ে অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে যে, আসামি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট অবৈধভাবে গুলিসহ বিদেশি পিস্তল নিজের দখলে রেখেছিলেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১৯(ক) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বিচারক আরও উল্লেখ করেন, পলাতক আসামি সম্রাটের এই সাজা তার আত্মসমর্পণ বা গ্রেফতারের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। রায়ের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত আলী জানান, সম্রাটকে পলাতক দেখিয়ে তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আদালত অভিযোগ গঠনকালে তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। গ্রেফতার না হওয়ায় বিচার কার্যক্রম তার অনুপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেল ট্র্যাজেডি: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আইনি নোটিশ

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিল্লাল হোসেন জানান, মামলার বিচার চলাকালে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ৭ অক্টোবর আদালত রায়ের জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে সম্রাটের নাম উঠে আসে। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদের ঢাকায় এনে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাবের অভিযানে সম্রাটের কার্যালয় থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, ১১৬০টি ইয়াবা বড়ি, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং নির্যাতনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাস এবং অবৈধ মদ রাখার দায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

পরদিন ৭ অক্টোবর র‌্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র মামলার তদন্ত করেন র‌্যাব-১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক। ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ওই দিনই তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ মামলায় এটি সম্রাটের বিরুদ্ধে প্রথম সাজা। এর আগে তার বিরুদ্ধে মাদক, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত ১৭ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায়ও তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়